কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

জেলেনস্কির ঘুম ভাঙছে

ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে দেশটির জনগণ বুঝতে পেরেছে যে তারা ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না।যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট এক্সপেডিশনারি ফোর্সের (জেইএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে শুনে আসছি যে ন্যাটোর দরজা আমাদের জন্য খোলা। কিন্তু আমরা ইতোমধ্যে জেনে গেছি যে আমরা ন্যাটোতে যোগ দিতে পারব না।’

‘এ সত্য আমাদের অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে এবং আমি আনন্দিত যে আমাদের জনগণও এটি বুঝতে শুরু করেছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন শুধু নিজেদের এবং আমাদের যারা সাহায্য করছে তাদের ওপর নির্ভর করব।’

এদিকে ইউক্রেনের পার্লামেন্টে দেশটিতে আরও ১ মাসের জন্য সামরিক আইন জারির পক্ষে ভোট গ্রহণ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট সদস্যরা আগামী ২৬ মার্চ থেকে সামরিক আইন আরও ৩০ দিনের জন্য বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ সময়ে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষরা দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না।

রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের অবস্থা ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘গত ২০ দিনে যুদ্ধের মধ্যে আমরা বুঝতে পারছি সত্যিকার বন্ধু কারা।’ মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়ালি কানাডার পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি এ কথা বলেন।

রাশিয়ার বিমান হামলা ঠেকাতে নো-ফ্লাই জোন বা বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি দাবি জানিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কিন্তু তার সেই আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন না পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা। তারা বলছেন, এটা করা মানে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানো।

সেই বিষয়ে কানাডার আইনপ্রণেতাদের কাছে তুলে ধরেন জেলেনস্কি। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কানাডা যদি ইউক্রেনের পরিস্থিতিতে পড়ত, তাহলে তারা কী করতেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কল্পনা করুন তো, অন্য বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো এবং তাদের বলা—অনুগ্রহ করে আকাশটা বন্ধ করে দিন, বিমান চলাচল আটকে দিন, বোমাবর্ষণ থামান। এর জবাবে তারা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। আমরা আমাদের সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলছি আর তারা বলছে, অনুগ্রহ করে আরেকটু ধৈর্য ধরো।’
নো–ফ্লাই জোন ঘোষণার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি কোনো দেশ নো–ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের দিকে যায়, তাহলে ধরা হবে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে।

পাঠকের মতামত: